মঙ্গলবার, ১২ জুলাই, ২০১৬

শতলাইনে তুমি

শতলাইনে তুমি
      -মোহাম্মদ শাকিরুল ইসলাম

অনুভবে মিশে আছো জানি
তবু কেন এত উৎকণ্ঠা ?
বলিনি কখনো তোমার দু চোখে কি দেখি
শুধু জানতে ইচ্ছে করে কি করছ এখন ?

খুব জানতে ইচ্ছে করে
আমাকেই ভাবছ বুঝি?
নয়ত অন্ধকার রাত্রিতে ছাদের কার্নিস ধরে দাঁড়িয়ে
তোমার চশমাহীন ঝাপসা চোখে
তাকিয়ে আছো আমার জানালার দিকে

বেশ দূরে আমি
তবু দেখতে পাও আমায়?
জানি তোমার চোখের কোনে জল
কত কষ্ট দিয়েছি তোমায়
শেষ বার হাত ধরে বলেছিলাম
মেয়ে শোন আর কান্না নয়

মধ্যরাতে তোমার এলাকার কুকুর গুলোর ডাক
আর প্রহরীর বাশীর শব্দ আজ সবই শ্রুতি মধুর
সেই দিন প্রথম যখন তোমার সাথে দেখা হলো
ভাবিনি এত কাছে আসবে

মেয়ে শোন , জীবনে পাইনি কিছুই
তবে পেয়েছি তোমায়
তুমি সে যে অমূল্য ধন আমার
আজ অনুভূতিতে আমি সবচেয়ে বিত্তশালী  

মেয়ে শোন শেষ বার যখন ধ্বংস হয়েছিলাম আমি
ভুলেগিয়েছিলাম আমার আমিকে
আপন সত্ত্বাকে ভুলে গিয়ে
হয়েছিলাম নরপশু

শত উত্থান পতনের পর
তীরে ফিরেছিলাম মানুষ হবার তীব্র ইচ্ছে নিয়ে
তুমি টেনে তুলেছিলে সে দিন

খুব ভাগ্য নিয়ে এসিছিলাম
তাইতো পেয়েছি তোমায়
দিনের সূচনা হতে রাতের গভীরতায়
সেই দিন থেকে মিশে আছো

মেয়ে শোন সেই দুই দিন
কোথায় ছিলে তুমি
জানতে না, পারিনা থাকতে এক মুহুর্ত
এই তুমি আমার পুরোটা জুড়ে

সকল পুর্ণতা তোমাকে ঘিরে
পারব না থাকতে একদিন কথা না বলে
এই, আমি কবিতা লিখতে বসিনি  
বলছিনা কিছু বাড়িয়ে

এলোমেলো আর ছেড়া কিছু লাইনে
অনেকটা ভালোবাসি বলার আকুলতা
একটা দুঃস্বপ্নের পর
আজ আমার ঘুমের মাঝে ক্লান্তি নেই               
স্বপ্নে কি জাগরনে
প্রবল উত্তাপ আর ভূকম্পনে
তুমি শুধু তুমিই এসেছিলে আমার চিন্তা জুড়ে।

শেষবার যখন বৃষ্টিতে ভিজেছিলাম
তোমার কাঁপা কাঁপি দেখে ভিষ ভয় পেয়েছিলাম জানো
কেন এত ভয়?
তোমাকে নিয়ে শেষ বলে কিছু নেই যে আমার অভিধানে
এক সাথে থাকতে চাই মৃত্যু পরেও

কত বকা দাও আমায়
নামায পড়তে বলো ,বলি আমিও
চাই পূন্যবান হয়ে তোমাকেই চেয়ে নিব সৃষ্টিকর্তার কাছে
পরবর্তী শত জীবনেও তুমি আর আমি
এ যেন মরে গিয়েও বাচার আকুলতা

মৃত্যু আমায় মুক্তি দিলেও
তুমি ছেঁড়ে যাবে না,
কথা দিয়েছিলে সে দিন
অঝরে কেঁদেছিলাম আমি

তোমাকে নিয়ে কল্পনার বিশাল রাজ্য
সে রাজ্যের  রানী তুমি
রানীকে ভালো রাখার ক্ষুদ্র চেষ্টায়
আমি একাই তোমার প্রজা

কবে আসবে সে দিন
যে দিন সমগ্র পৃথিবী দিবে তোমাকে আমার করে
দুজনে ঘুরে বেড়াব গোলাপ গ্রাম
থাকবে না কেউ দেখে ফেলার ভয়

মুক্ত বিহঙ্গ আমি তুমি
কপোত কপোতী হয়ে ড়ে বেড়াব
গভীর রাতে রিক্সা করে ঘুরব সারা শহর
খালি পায়ে মেঠো পথে হেঁটে
পাড়ি দিব গ্রাম

উত্তাল স্রোতের নদীতে বৈঠা হাতে
নৌকা করে পাড়ি দিব দুজন।
সমুদ্র সৈকতে দেখব রক্তিম সূর্যাস্ত
পাড়ি জমাব বরফের দেশে
তোমাকে জড়িয়ে ধরে হাঁটব

শীতের সকালে
উত্তপ্ত কফি কাপ হাতে তুমি
ঘুম ভাঙ্গাবে আমার।
শরতের কাশবনে হারাবো তুমি আমি
নীল আকাশের দিকে মুখ করে
শুয়ে থাকব সবুজ ঘাসের উপর

তোমার অভিমান পর্বের শেষ নেই বুঝি
তোমার গোমড়া মুখ
আর কথা বলার তাছিল্যতা আমায় বড্ড কষ্ট দেয়।
আমার মন খারাপের দিন গুলোতে
আমার পাশে বসে বুকে রাখো মাথাখানি ।
নয়তোবা  জড়িয়ে ধরো আমার হাত
আলতো করে চুমু খাও আমার গালে
তখন মনে হয় বেশ তো হোক না কিছু অভিমান।

এলোমেলো আর ঝাপসা চোখে
কাব্যের প্রতিটি শব্দে উপশব্দে
প্রতিটি লাইনে তোমায় খুজেফিরি ।


শেষ হোক কাব্য
চলো হাঁটি দু-এক পা
করি একান্তে কিছু বাক্যলাপ


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন