বিশাল সমুন্দুর
---মোহাম্মদ শাকিরুল ইসলাম
তুমি আসিয়াছ মোর ধরণী কাঁপায়ে
দাপায়ে বেড়াইছ সব
থামিয়া গিয়াছে তোমার ধ্বনিতে
পাখির কলরব।
তুমি আসিয়াছ
মোর ঊষালগ্ন জুড়িয়া
দেখিয়াছ মোর আঙিনা ঘুরিয়া।
যাইবার কালে বারে বারে
চাও ফিরে আবার এই আমারে
দিয়াছ অই চক্ষুদ্বয়
এই হৃদয় হীনারে।
মোর আঙিনা জুড়িয়া আজ
ছড়ায়ে ছিটায়ে পড়িয়া রবে যত স্মৃতি
ঝর আসিয়া আবার মুছিয়া দিবে
টানিয়া দিবে ইতি।
চাইনা আমি ঝড় ঝাপটা
চাইনা অশ্রুধারা
এখানে ওখানো ছড়ানে স্মৃতিরা
করিয়া ফিরে মোরে তারা।
অবশেষে মোর দিন ফুরালে
একাই ফিরি ঘরে।
সাঁঝের মায়া সাঙ করিয়া
কাঁথা মুড়িদিয়া গায়ে।
গুন গুনিয়ে গান ধরিনু
ফিরিব নদীর বাকে
উজানে আবার নাউ ভাসাইয়া
পাড়ি দিব বহুদূর
সাধী হবে মোর আকাশের চিল
আর বিশাল সমুন্দুর।
সমুন্দুরের বিশাল বুকে দিবে মোরে সে ঠাই
সে যে নয় ক্ষীন তোমারি মত
গুটায়ে লইবে বুক
দিবে মোরে অনেক ঝড় ঝাপটা
তবু দিবে যে সুখ।
বুক চিড়িয়া চলিতে দিবে
পাড়ি দিব সারা পথ
শুনাইবে মোরে শত গীত
তবু করিবেনা অভিযোগ।
ধরিবেন মোর শত ভুল
তবু পালে দিবে যে দোলা
বৈঠা ছাড়িয়া দু বাহু মেলিয়া
ছিটাইব জল রাশি।
ওপারেতে পার হয়ে
শুনিব আমার রাখাল ভাইয়ের বাঁশী।
কলশী কাখে আবার আসিয়া
দাড়াঁইবে দিতে অভিযোগ
ছট ফটিয়ে নামিয়া আবার ধরিব অনুযোগ।
যাইবার কালে আবার আমি
ফিরিয়া চাইব নাউ
যে দুলিছে মোর সমুন্দুর বুকে
আমি নাই বৈঠা হাতে।
দিন শেষে আবার এপারে আসিয়া
বাধিনু নতুন ঘর
ওপারেতে সব ছাড়িয়া আসিনু
হইয়া গেল পর।
-০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন